স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন শারদীয় শ্রীশ্রী দুর্গা পূজা ও উৎসব উদযাপনের লক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে পিরোজপুরে সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ মতবিনিময়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক নজরুল ইসলাম খাঁন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস.এম সাইদুল ইসলাম কিসমত এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এলিজা জামান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খাঁন, পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দোলা গুহ, ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবুল হালদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র শেখর হালদার, স্বামী বিবেকানন্দ সেবাসংঘের সভাপতি ডা. এস দাস, জেলা পূজা ফ্রন্ট এর যুগ্ম আহবায়ক অনুপ কুমার সিকদার, পূজার আলো গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ কান্ত দাস, জেলা হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক শ্রীপতি চঞ্চল, জেলা ঐক্য পরিষদ কল্যাণ ফ্রন্ট এর আহবায়ক অশোক সিকদার, সদস্য সচিব পলয় মন্ডল, মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার সদস্য সচিব দেবাশীষ চৌধুরী, আখড়াবাড়ী জিউর মন্দির এর সভাপতি সুনীল চক্রবর্ত্তী, মতুয়া মিশন এর জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির হরিগুরু বিপিন চাঁদ সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার মজুমদার, হরিগুরু চাঁদ মতুয়া মিশন এর নাজিরপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি রামকৃষ্ণ হালদার, ঢাকা দক্ষিন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ মন্ডল, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপিত রেহান শেখ রাজু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আকাশ কান্তি সেন প্রমুখ।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত বলেন, “ধর্ম থাকুক অন্তরে, মসজিদে আজান চলুক, মন্দিরে ঘণ্টা বাজুক—এর প্রমাণ পিরোজপুর। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, আর পিরোজপুর তার উজ্জ্বল উদাহরণ। এখানে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও আখড়া বাড়ি মন্দির একই সীমানায় রয়েছে, তবুও কখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক আগেই বলেছেন—এই দেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই, সবাই বাংলাদেশী।”
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান বলেন, “আপনি হিন্দু, আমিও হিন্দু—কারণ আমরা সবাই সিন্ধু সভ্যতায় বেড়ে উঠেছি। এখানে হিন্দু, মুসলিম কিংবা পাহাড়ি-আদিবাসী—সবাই একই রক্তের অধিকারী, একই মানচিত্রে এবং একই লাল-সবুজের পতাকার তলে ঐক্যবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি একটি সামাজিক সম্পর্ক, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে। তাই শারদীয় দুর্গোৎসবকে আনন্দ ও ভ্রাতৃত্বের উৎসবে পরিণত করতে হবে। “প্রত্যেক বাড়িতে যেন উৎসবের ঢেউ ওঠে। তবে শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে যেন কেউ বিশৃঙ্খলার কারণ না হন। সনাতন ধর্মালম্বীরা নির্বিঘ্নে পূজা-অর্চনা করবেন, আর আমরা সমাজের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। তবে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যেন আবার নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সেটিও লক্ষ্য রাখতে হবে।”
বক্তরা বলেন, নবগঠিত জেলা বিএনপির কমিটি, আগের নেতৃত্ব ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সবাই মিলে পিরোজপুরকে সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবো।
সভায় জেলা বিএনপি ও বিএনপি এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সনাতনী সম্প্রদায়ের সংগঠন ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এ সময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




