পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার এক গৃহবধূর মৃত দেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী । রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে । নিহত গৃহবধূ বিথী আক্তার উপজেলার পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণকাঠি গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে। পলাতক স্বামী ফাহিম হোসেন একই ওয়ার্ডের ছারছিনা গ্রামের সোহাগ হোসেনের ছেলে। বিথী আক্তারের পরিবারের দাবি ফাহিম তার মেয়েকে হত্যা করেছে । এ ঘটনায় ফাহিম হোসেন ও তার বাবা সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মেয়ের বাবা মিজানুর রহমান।
সোমবার দুপুরে বিথী আক্তারকে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনরা।
নিহতের বাবা মিজানুরর রহমান জানান, প্রেমকরে ৬ মাস আগে আমার মেয়েকে বিয়ে করে আমাদের প্রতিবেশী ফাহিম হোসেন। বিয়ের পর ফাহিম বেকার থাকায় বিভিন্ন সময় টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। প্রায়ই টাকার জন্য বিথীকে মারধর করত। গতকাল বিথিকে মারধর করে এবং নিয়ে যেতে বলে। পরে রাত দশটার দিকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানায় আমার মেয়ে মারা গেছে। পরে আমরা সেখানে যাই এবং দেখি ওখানে বিথীর লাশ পড়ে আছে, পাশে কেউ নেই।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, বিথী আক্তার হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গেছে।
নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃতদেহটি থানায় আনা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুরের মর্গে পাঠানো হবে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, মামলার প্রস্তুতি চলছে।




