এক নববিবাহিত যুবক স্ত্রী’র অতিরিক্ত বিলাসী জীবন-যাপনের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে চরম পথ বেছে নিয়েছেন। ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি (বিবিএ) অর্জনকারী ওই যুবক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনের চাকরিতে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর তার স্ত্রী’র ফ্যাশন, শপিং, ঘুরতে যাওয়া, দামি উপহারসহ নানা বিলাসিতার চাপ বাড়তে থাকে। পরিকল্পনা করে একটি ডাকাত দলের সঙ্গে যুক্ত হন এবং একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। পরিকল্পনা করে একটি ডাকাত দলের সঙ্গে যুক্ত হন ও একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের জয়পুর শহরের।
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, পারিবারিক বোঝাপড়া, আর্থিক স্বচ্ছতা এবং বাস্তবতাকে মেনে চলার মধ্যে যদি দাম্পত্য জীবন পরিচালিত না হয়, তাহলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতেই পারে। সমাজবিজ্ঞানীরাও মনে করছেন, ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও পারস্পরিক মূল্যবোধের অভাব থেকে এমন অপরাধ জন্ম নিচ্ছে।
স্ত্রীকে খুশি রাখতে শুরুতে তিনি অতিরিক্ত কাজ করতেন এবং ঋণ নেন। কিন্তু এরপরও খরচের লাগাম টানতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি অপরাধের পথে পা বাড়ান। পুলিশ বলছে, তিনি নিজে পরিকল্পনা করে একটি ডাকাত দলের সঙ্গে যুক্ত হন এবং একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশের ভাষ্য মতে, বিয়ের মাত্র এক মাসের মাথায় ওই যুবক ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার হন। তদন্তে জানা যায়, তার অপরাধপ্রবণতায় মুখ্য ভূমিকা রেখেছে স্ত্রীর চাহিদা এবং সামাজিক প্রতিপত্তি দেখানোর চাপ। ওই যুবকের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত কিছু অস্ত্র ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। একজন শিক্ষিত যুবক, যে সমাজে নিজের অবস্থান গড়তে পারতেন, সে নিজের স্ত্রীর বিলাসিতার চাপে পড়ে জীবনের সবকিছু নষ্ট করে ফেলেছে।’’
সামগ্রিকভাবে, ঘটনাটি সমাজে একটি কঠিন বার্তা দেয়—শিক্ষা থাকলেও যদি নৈতিকতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ না থাকে, তবে মানুষ বিপথে যেতে সময় লাগে না।




