ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনাস্থল সরজমিনে পরিদর্শন করেন পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার খাঁন মোহাম্মদ আবু নাসের। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার বাইপাশ সড়কে (মেডিক্যাল মোড়) পরিদর্শন কালে স্থানীয় ও মিডিয়াকর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে সকলের সহযোগিতা করতে হবে। উপজেলার যত মানসিক প্রতিবন্ধী রয়েছে বিশেষ করে মহিলা ও মেয়েদের সনাক্ত করে সামাজিক অবক্ষয়ও ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধকল্পে তাদেরকে সমাজসেবা দপ্তরের মাধ্যমে তালিকা করে সেইফ হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মো:সাখাওয়াত হোসেন। ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। ভান্ডারিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলন, মোঃ কবির খানসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভান্ডারিয়া থানার হাসপাতাল মোড়ে ফারুকের দোকানের সামনে রাত ৩টার দিকে একটি বেঞ্চের ওপরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে রিকশাচালক মো. জাহিদ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ভিডিও সাংবাদিক মো. জিয়াউল ইসলাম জিহাদ ধারণ করেন। পরে ওই সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষকের কাছে অর্থ দাবি করে। পরবর্তীতে সাংবাদিক জিহাদ নিজের ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করলে পুলিশের নজরে আসে। পরে রিকশাচালক মো. জাহিদ ও সাংবাদিক মো. জিয়াউল ইসলাম জিহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।




